দক্ষিণ সুনামগঞ্জ,জগন্নাথপুর  ও তাহিরপুরে জমজমাট নৌকার হাট

মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি,জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাট- বাজারে জমে উঠেছে কাঠের তৈরী নৌকা ক্রয়- বিক্রয় । হাওর কন্যা সুনামগঞ্জ সদর সহ জেলার প্রায় সবকটি উপজেলার বিভিন্ন  হাট-বাজারে  বর্ষা মৌসুমে ঘর থেকে বের হলেই প্রয়োজন হয় নৌকার। নাগরিক জীবনে যার ফলে কদর বেড়ে যায় কাঠের তৈরী এ যানটির। বিশেষ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হাওর জনপদে নৌকার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। তাই বর্ষা মৌসুমে অনেকে নৌকা তৈরী করে বিক্রি করেন । আর শুধু মাত্র নৌকা বিক্রির জন্য অনেকদিন ধরে পরিচিত হয়ে আছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের আক্তাপাড়া
( মিনা বাজার) তাহিরপুরের কাউকান্দি ছাতকের জউয়া,দিরাই,বিশ্বম্ভরপুর,ধর্মপাশা, জগন্নাথপুর ও শাল্লা উপজেলার সদর বাজার। উপজেলা গুলোর লোকজন বর্ষা মৌসুমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের জন্য এখনও একমাত্র নৌকার উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বর্ষা মৌসুম এলেই গ্রাম গঞ্জে নৌকা কেনাবেচার হিড়িক পড়ে । বিভিন্ন গ্রামের লোকজন হাট বাজার স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা ও উপজেলা সদরে আসা যাওয়ার জন্য নৌকা ক্রয় করেন আবার অনেকে উন্মূক্ত জলাশয়ে মাছ ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য নৌকা কেনেন। আর এ বিপুল পরিমাণ নৌকার চাহিদা থেকে এ সকল বাজারে দীর্ঘদিন ধরে জমে উঠেছে নৌকার হাট। সপ্তাহে দু’দিন  বসে নৌকার হাট। গ্রাম থেকে শত শত ক্রেতা ছুটে আসেন এ হাটে নৌকা কিনতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,  হাট- বাজার গুলোতে দুই/তিন শতাধিক নৌকা বেচাকেনা হয়। শুক্রবার সরেজমিন বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ মৌসুমে এ হাটে নৌকার দাম খুবই কম। অন্য যেকোন বছরের তুলনায় নৌকার দাম কম থাকায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত তারা।একটি নতুন কিলুয়া নৌকা বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়।ছাতক উপজেলার শক্তিয়ারগাঁও গ্রামের মৎসজীবী লালা মিয়া, তাহিরপুর উপজেলার রাজধরপুর গ্রামের হাদিসনূর বলেন, মাছ ধরতে গেলে এক-দুইডা নাও (নৌকা) লাগে, এজন্য তারা প্রতি বছর পুরনো নৌকা বিক্রি করে নতুন নৌকা ক্রয় করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment